ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় নাশকতা ঠেকাতে দিনভর রাজপথে তৎপর আ.লীগ নেতাকর্মীরা

বার্তা পরিবেশক :: কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ এর নেতৃত্বে সোমবার (৭ নভেম্বর) ভোর থেকে দিনভর রাজপথে সতর্ক অবস্থানে ছিল দলীয় নেতাকর্মীরা।

সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এবং চকরিয়ায় মহাসড়কে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে গতকাল সোমবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সতর্ক এই নেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এতে পূর্বঘোষণা থাকলেও গতকাল সোমবার দিনভর মাঠে দেখা যায়নি বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে। আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়- সোমবার ৭ নভেম্বর ছিল। এই দিনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে মহাসড়কে নাশকতার চেষ্টা চালাবে। এমন আশঙ্কা থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিদ মিল্টন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরহান মাহমুদ রুবেলসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ‘৭ই নভেম্বর হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। কিন্তু এই দিবসকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস আখ্যা দিয়ে বিএনপি মাঠে নেমে নাশকতা চালাবে এমন আশঙ্কায় এমপি জাফর আলমের নির্দেশে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিনভর মহাসড়কের চকরিয়ার ২৯ কিলোমিটারজুড়ে অন্তত ১০টি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নেয়।

এতে নেতৃত্ব দেন এমপি জাফর আলম। এতে সারাদিন দেখা যায়নি বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে।’ এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘চকরিয়া-পেকুয়ায় আন্দোলনের নামে কোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর বিন্দুমাত্রও সুযোগ দেওয়া হবে না স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রকে। সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজপথ থাকবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দখলে।’

পাঠকের মতামত: